source
১) দুরারোগ্য ব্যাধি ইবোলা, প্রথম পাওয়া যায় আফ্রিকার কঙ্গোতে, সময়কাল ১৯৭৬ সাল,
২) দূরারোগ্য ব্যাধি এইডস মানুষের মাঝে প্রথম পাওয়া যায় আফ্রিকার কঙ্গোতে, সময়কাল ১৯৫২ সাল,
৩) চিকুনগুনিয়া প্রথম পাওয়া যায় আফ্রিকান রাষ্ট্র তানজানিয়ায়, সময়কাল ১৯৫২ সাল,
৪) ভয়ঙ্কর জ্বর ক্রিমেন কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার' বা সিসিএইচএফ প্রথম ব্যাপকহারে পাওয়া যায় আফ্রিকান রাষ্ট্র কঙ্গোতে, সময়কাল ১৯৬৯ সাল।
৫) জিকা ভাইরাস প্রথম পাওয়া যায় আফ্রিকান রাষ্ট্র উগান্ডাতে, সময়কাল ১৯৪৭ সাল।
উল্লেখ্য, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ১৯৪৩ সালে আমেরিকার জীবাণু অস্ত্রের (biological weapon) কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে। বিভিন্ন জীবাণু, ভাইরাস দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করাকেই জীবাণু অস্ত্র বলা হয়। ধারণা করা হয়, এই সব দূরারোগ্য ব্যাধী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জীবাণু অস্ত্রের প্রেয়োগের ফসল।
গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, এই সব জীবাণু অস্ত্রের প্রয়োগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ফ্রি টিকা, ভ্যাকসিন ও ওষুধের কার্যক্রম, যা জাতিসংঘ, হু, সেভ দ্য চিলড্রেনসহ বিভিন্ন এনজিও’র নাম দিয়ে চালানো হয়। এসব ফ্রি ভ্যাকসিনের আড়ালে যে অন্য উদ্দেশ্য থাকে তা দ্য টাইমস পত্রিকায় ১১ই মে ১৯৮৭ সালে একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়:
বিশ্ব পোলিও নির্মূলকর্মসূচিতে (যা পরিচালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, রোটারিইন্টারন্যাশনাল এবং সেন্টারস অব ডিজিজ কন্ট্রোল) আফ্রিকার ২২ দেশের ৭৪ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু উক্ত ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে তা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় নাইজেরিয়ার পরীক্ষাগারে। সে সময় গবেষণায় রেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর এক ফলাফল। ল্যাবরেটরি টেস্টে দেখা যায়, ওই পোলিও ভ্যাকসিনে এস্ট্রোজেন সহ অন্যান্য নারী হরমোন বিদ্যমান, যা ব্যবহারে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করবে।”
শুধু জীবাণু দেয়াই নয়, জীবানু প্রতিরোধে তারা বাণিজ্যিকভাবে যে ওষুধ বের করবে, তারও পরীক্ষামূলক ট্রায়াল চালানো হয় আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোতে, বাচ্চাদের বানানো হয় গিনিপিগ। যেমন খবরের হেডিং-
“ম্যালেরিয়ার টিকা পরীক্ষায় বেছে নেয়া হলো আফ্রিকার তিন দেশ”
খবরের ভেতর:
“নতুন উদ্ভাবিত ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য বেছে নেয়া হলো আফ্রিকার তিনটি দেশ। প্রথম ম্যালেরিয়া টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে কেনিয়া, ঘানা এবং মালাবিতে। ২০১৮ সালে এই কর্মসূচি শুরু হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
কয়েক দশক ধরে শত শত কোটি ডলার ব্যয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি কেবলমাত্র ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় সফল প্রমাণিত হয়েছে। স্বাভাবিক পরিবেশে মানুষের ওপর কতোটা কার্যকর হবে সেটি নিশ্চিত হতেই আফ্রিকার ওই তিনটি দেশ বেছে নেয়া হয়েছে।
এটি পাঁচ বছর থেকে ১৭ মাস বয়সী শিশুদের ওপর প্রয়োগ করা হবে।” (https://bit.ly/2EmfKWf) উল্লেখ্য, এসব টিকা পরীক্ষার সময় শিশুদের মৃত্যুও কম হয় না (https://bit.ly/2Iwkr2g)
এসব গিনিপিগ টেস্ট এবং জীবানু অস্ত্রের প্রয়োগের ফলে পৃথিবীর মোট ইনফেকশনের ঘটনার ৯০% ঘটছে আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোতে। যে আফ্রিকানরা ইউরোপ-আমেরিকায় শক্তিশালী বলে বিবেচিত হয়, তারা নিজেদের আফ্রিকায় অতিমাত্রায় দুর্বল ও রোগী।
আসলে এগুলো সব করা হয়েছে, ঐ দেশের সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য। একটা দেশের মানুষ যদি রোগাক্রান্ত ও দুর্বল হয়, তবে তারা নিজেদের রোগ-শোক নিয়ে সারা দিন ব্যস্ত থাকবে, আর সে সুযোগে তাদের সম্পদ লুটপাট করা যাবে বিনা বাধায়।
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি হীরা পাওয়া যায় পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্র সিয়েরা লিয়নে, আবার পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র রাষ্ট্র সেই সিয়েরা লিয়ন-ই। একবার এক ডকুমেন্টারিতে দেখেছিলাম, একজন সিয়েরা লিয়নীকে যদি আপনি এক প্লেট খাবার দেন এবং তার বিনিময়ে তাকে বলেন, সারা দিন তুমি আমাকে হিরা সংগ্রহ করে দেবে তবে সেটাতেই সে খুশি।
রোগ আর গৃহযুদ্ধ, এ দুটো দিয়েই সম্রাজ্যবাদী পশ্চিমারা আফ্রিকাকে কাবু করেছে। এই যে বাংলাদেশ থেকে সৈণ্য শান্তিমিশনে যায় কেন যায় ? আসলে শান্তি মিশন বলে কিছু নেই, সব হলো পাহাড়া দেয়া। বাংলাদেশী সৈণ্যরা পাহাড়া দিবে, যেন ওরা গোলমাল না করতে পারে, আর সে সুযোগে ওদের সম্পদ লুটবে পশ্চিমারা। হয়ত এ কাজের জন্য একজন পশ্চিমা সৈন্য নিতে গেলে বাৎসরিক খরচ হতো ১ থেকে ২ কোটি টাকা, কিন্তু আমাদের এদিক থেকে নিলে খরচ হয় ১০ লক্ষ টাকা। তাই সস্তায় সৈন্য নেয়া, আমরাও খুশি, ওরাও খুশি।
এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, বাংলাদেশের সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে সম্রাজ্যবাদী শকুনীদের। চীনের স্ট্রিং অব পালর্স, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড কিংবা আমেরেকার পিভট টু এশিয়া পলিসি বলে দেয় আগামী সময়গুলোতে বাংলাদেশসহ বঙ্গোপোসাগরের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে সম্রাজ্যবাদীদের, সেটা সম্পদের জন্য হোক কিংবা ভূ-রাজনীতির জন্য হোক। এক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের বশে আনার অন্যতম পদ্ধতি হতে পারে জীবাণু অস্ত্রের প্রয়োগ।এতে বাংলাদেশের মানুষ সারাদিন অসুখ-বিসুখ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, আর সে সুযোগে খুব সহজে বাংলাদেশকে করায়ত্ব করবে সম্রাজ্যবাদীরা। ৫০ বছর ধরে তারা আফ্রিকায় যে জীবাণু অস্ত্রের প্রয়োগ ঘটিয়েছে, তা যে আমাদের এলাকায় হবে না, সেটা কিন্তু বলা যায় না।
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে বিভিন্ন রোগ-শোক বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ অকারণে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে, যা আগে দেখা যায়নি। তাছাড়া বাচ্চাদের উপর ভিটামিন এ ক্যাপসুল, কৃমিনাশক ওষুধ কিংবা ফ্রি ভ্যাকসিনও ভয়ের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বিদেশ থেকে আসা ফ্রি ওষুধগুলো স্কুলগামী বাচ্চাদের গিলিয়ে দিচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। পাশাপাশি জিএমও ফুডও নতুন করে ভয়ের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এ অবস্থায় সম্প্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র থেকে বাংলাদেশের মানুষ কতটুকু সচেতন হতে পারবে সেটাই চিন্তার বিষয়।
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
http://company.poki.com/terms-of-use/